কঠিন সময়ে পুরোহিতদের পাশে এসে দাঁড়ালো চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট , দেওয়া হল খাদ‍্য সামগ্ৰী

28th April 2020 হুগলী
কঠিন সময়ে পুরোহিতদের পাশে এসে দাঁড়ালো চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট , দেওয়া হল খাদ‍্য সামগ্ৰী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : কঠিন সময়ে রোজগার সেই কবেই বন্ধ  হয়ে গিয়েছিল । বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পরেছিল পুরোহিতদের।
তাই সামনের দিনগুলোতে কি ভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তিত ছিল সবাই ।  সরকারী সাহায্য চেয়ে সংবাদ মাধ্যমের দারস্থ হয়েছিল শ্রীরামপুর পৌরোহিত্য কল্যাণ সমিতি । ক্যামেরার সামনে সরকারি হস্তক্ষেপের  আবেদন করেছিল তারা।এবার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।প্রাথমিক ভাবে
শ্রীরামপুর থানার পক্ষ থেকে মোট আশি জন দরিদ্র পুরোহিতদের হাতে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হলো।সংগঠনের প্রধান রঞ্জন  মুখার্জি জানান ,  কঠিন এই সময়ে প্রশাসন আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তাই এই সাহায্যে অনেকটাই সুবিধে হবে পরিবারের।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।